জাতীয়নারায়ণগঞ্জ

দলিলের উৎস কর ও নাল আবাসিক কর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। বিপাকে জনগণ , রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

নিউজ টি শেয়ার করে অন্যকে দেখার সুযোগ করে দিন।

বাংলাদেশীয়া সংবাদ: দলিলের উৎসে কর ও নাল আবাসিক কর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারনে নারায়ণগঞ্জ জেলা সকল থানা আওতাধীন এলাকাতে ক্রেতা শূণ্য হয়ে যাচ্ছে । বিশেষ করে নিন্ম জমি বা ধানী বা পুকুরের জমির দিকে সাধারন মানুষের আগ্রহ থাকে সব থেকে বেশি যা এলাকাবভেদে সরকারী দাম নির্ধারন হয়ে থাকে এবং সেই মোতাবেক রেজিস্ট্রি হয়ে থাকে এমতাবস্থায় ফতুল্লা থানাধীন মীরগঞ্জ প্রতি শতাংশ জমির সরকারী গড় মূল্য ১০,৮০০/- টাকা অথচ বর্তমানে সরকারী নির্ধারিত কর প্রতি শতাংশ ৩১ হাজার টাকা পূর্বে ছিলো ১২৪২ হাজার টাকার মত যা বর্তমানে অতিরিক্ত কর দাড়িয়েছে ২৯৭৫৮ টাকা।

চর গঙ্গাপ্রসাদ মৌজায় প্রতি শতাংশ জমির সরকারী গড় মূল্য ৩৪,২৪০/- টাকা অথচ বর্তমানে সরকারী নির্ধারিত কর প্রতি শতাংশ ৩৩ হাজার টাকা পূর্বে ছিলো ৩৯৩৭ হাজার টাকার মত
যা বর্তমানে অতিরিক্ত কর দাড়িয়েছে ৩০,৩০৩ টাকা। চর বক্তাবলী মৌজায় প্রতি শতাংশ জমির সরকারী গড় মূল্য ৮৯,৭১০/- টাকা অথচ বর্তমানে সরকারী নির্ধারিত কর প্রতি শতাংশ ৩৬ হাজার টাকা পূর্বে ছিলো ১০,৩১৬ হাজার টাকার মত যা বর্তমানে অতিরিক্ত কর দাড়িয়েছে ২৫,৬৮৩ টাকা।

বর্তমানে নারায়ণঞ্জ জেলার (নারায়ণগঞ্জ সদর, ফতুল্লা, বন্দর, সিদ্ধিরগঞ্জ, সোনারগাও, আড়াই হাজার এবং রূপগঞ্জ) প্রতিটা মৌজায় কাঠাপ্রতি ৫০,০০০/- হাজার টাকা বৃদ্ধি ও নাল ও পুকুর
শ্রেনির পাশাপাশি আবাসিক লিখা থাকায় বাড়ীর মূল্য হিসাবে নির্ধারিত হওয়ায় ব্যপক হ্রাস পাচ্ছে। অপর দিকে নারায়ণঞ্জ জেলার (নারায়ণগঞ্জ সদর, ফতুল্লা, বন্দর, সিদ্ধিরগঞ্জ, সোনারগাও, আড়াই হাজার এবং রূপগঞ্জ) থানাধীন যে সকল মৌজায় ৬ লক্ষ টাকার উপরে সরকারী গড় মূল্য নির্ধারন আছে সে সব মৌজায় ১১.৫% হারে ব্যাংকে জমা হচ্ছে এবং উৎসহ কর অতিরিক্ত লাগছে না এতে সাধরন মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয় সৃষ্টি হচ্ছে অনেকটা বৃষ্টিশদের মত গরীবকে ভাতে মারো একজন গ্রামের সাধরন কৃষক দিচ্ছে শতাংশ প্রতি ৩০০% এর মত অপর দিকে শহরের লোক যার জমির দাম বেশি সরকার বেশি রাজস্ব পাবার কথা তার থেকে নেয়া হচ্ছে ১১.৫% এর মত ট্যাক্স যা ধনী গরিব বৈশম্য এর সৃষ্টি যা সভ্য সমাজে বড় বে-মানান এতে করে সরকারের ভাবমূর্তি নস্ট করছে এক প্রকার আমলারা যারা এসিতে বসে বসে জনগনের ট্যাক্স এর টাকায় জনগনকে মারার জন্য ট্যাক্স নির্ধারন করছেন অথচ স্থানীয় ডিসি মহোদয়, জেলা রেজিস্ট্রারসহ সকলে সরকারী বাজার গড় মূল্য নির্ধারন করে তারপর সরকারী গড়মূল্য নির্ধারিত করা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে এনবিআর এর উচিত ছিলো সরেজমিনে খোজ খবর নিয়ে তারপর উৎস কর নির্ধারন করা হুট করে গরীবের কৃষি জমিতে ৫০ হাজার টাকা উৎসহ কর এর কারনে আজ সাধারন মানুষ জমি বিক্রয় করিতে পারছে না।

এতে করে সাধারন জনগন চরম পর্যায় ভুক্তভোগী হচ্ছে এবং বর্তমানে সাধরন মানুষের এক কথায় মানুষের গলার কাটা এর ভিতরে আবার জমির বাস্তবতা হলো ধানী জমি যাকে আমরা কৃষি
জমি হিসাবে চিনে থাকি এসব জমির আওতাধীন ভূমি অফিসগুলোকে ডিসি অফিসের বাৎসরকি খাজনা নাল ও পুকুর থাকলে প্রতি শতাংশ ২ টাকা হারে খাজনা নির্ধারন থাকলেও ভূমি অফিসের রাজস্ব তেমন না বাড়ায় ডিসি অফিসের রাজস্ব শাখার আদেশ অনুযায়ী ধানী জমি বা পুকুর যাই হোক রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য নাল এর পাশে ভূমি মন্ত্রনালয় এর ওয়েবসেইটে তারা পুকুর
ও নালের পাশে আবাসিক লেখার কারনে বাড়ীর সম্যতুল্য হিসাবে রেজেস্ট্রিশন অফিসগুলোতে ধানী জমি ও পুকুর ভূমি বাড়ী হিসাবে রেজিস্ট্রি করিতে বাধ্য হচ্ছে তাতে সাধারন মানুষ হয়রানীর শিকার হচ্ছে।

এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে এবং চলতি অর্থবছরের রাজস্বের পরিমান দলিল হিসাবে বিগত সময়ের অর্ধেক এর নিচে নেমে আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশম্কা প্রকাশ করছে।রেজেস্ট্রিশন অফিসগুলোতে খবর নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে কিছু হেবার ঘোষনা পত্র দলিল, ব্যাংক কর্তৃক মর্গেজ দলিল, ঘোষনা পত্র দলিল, চুক্তিপত্র দলিল এর মধ্যে অনেকটা সিমাবদ্ধতা রয়েছে। উৎসহ কর ও নাল ও পুকুর শ্রেনির পাশাপাশি আবাসিক লিপিবদ্ধ হওয়ার কারনে সাধারন মানুষ জমি ক্রয় করিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তাতে করে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে একই সঙ্গে উন্নায়ন এবং কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নগরবাসী।

বক্তাবলী ইউনিয় এর বাসী মতি গাজী বলেন, মেয়ের বিয়ের অনুষ্টান করার জন্য ৪ কাঠা জমি বিক্রয় করতে চেয়েছিলাম কিন্তু কাঠাপ্রতি উৎসহ কর বৃদ্ধিকরন ও নাল আবাসিক হওয়ার কারনে জমি ক্রয়-বিক্রয় করা যাচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *