ফতুল্লায় স্বেচ্ছসেবক দলের নেতাকে গু লি করে হত্যায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত

বাংলাদেশীয়া সংবাদ :
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মামুন হোসাইনকে গু*লি করে হ*ত্যা*য় দুবৃর্ত্তদের ধরতে পুলিশের অভিযান অভ্যাহত রয়েছে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টায় ফতুল্লা রেললাইনের উপরে গু*লিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি বলে জানিয়েছেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। নিহত মামুন হোসাইন ফতুল্লা পূর্ব লালপুর রেল লাইনের পাশে মৃ*ত সমন আলী বেপারীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আজাদ মিয়া জানান, শুক্রবার ইট, বালু সিমেন্ট লোড আনলোড করে রাত ২টা সময় বাসায় চলে যান মামুন হোসাইন। তিনি আবার সাড়ে ৪টায় প্রতিষ্ঠানে সামনে এসে দাড়াঁন, ওই সময়ে অনেকগুলো গু*লির শব্দ শুনতে পাই। পরে আমরা দৌড়ে গিয়ে দেখি মামুন হোসাইন নিচে লুটিয়ে পড়ে আছে। ওই সময় দুইজন যুবক দৌড়ে পালিয়ে যায়। ফতুল্লা রেললাইনে উপরে গু*লিবিদ্ধ মামুন হোসাইনকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাকে মৃ*ত ঘোষনা করেন ডাক্তার।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এস আই) কামাল মিয়া জানান, নিহত মামুন হোসাইনের ইট, বালু, সিমেন্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতি রাতে লোড আনলোড সময়ে তিনি উপস্থিত থাকেন। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টায় তাকে ফোন করে ডেকে আনা হয়, ওই সময় তাকে গুলি করা হয়। তার ডান চোখ ঠেকিয়া গুলি করে পালিয়ে যায়।
ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রবিন মামুন হ্যাত্যায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি জানান আলাউদ্দিন হাজির ছেলে আক্তার ও সুমনের নির্দেশে মামুনকে হত্যা করা হতে পারে।
ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ খুনিদের ধরতে আকতার ও সুমনের বাসায় দীর্ঘ সময় অভিযন চালিয়েছে। পরে তাদের বাসা থেকে পুলিশ একটি ভিডিও ফুটেজ এর মেমরি কার্ড তদন্তের স্বার্থে নিয়ে আসেন।
ফতুল্লা থানার ওসি শরিফুল ইসলাম জানান উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকারীদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে।