Uncategorized

ব্যবসায়ী মাসুম হত্যায় জড়িত প্রেমিকা রুমা ছিলো নির্ভীক মুখে মিষ্টি হাসি

নিউজ টি শেয়ার করে অন্যকে দেখার সুযোগ করে দিন।

মো. সেলিম মুন্সি : ব্যবসায়ি মাসুম হত্যায় জড়িত পরকীয়া প্রেমিকা রুমার হাতে খুন হয়েছেন ফতুল্লার ডাইং ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম (৫৭)। প্রেমঘটিত ঘটনায় ব্যবসায়ী জসিমকে প্রথমে খুন করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপতঙ্গ সাতটি টুকরো করা হয়। পরে তা কালো তিনটি পলিথিনে ভরে রূপগঞ্জের পূর্বাচলে লেকের পাশে ফেলে রাখা হয়।

বুধবার বিকালে লাশটি উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পরিচয় সনাক্ত ও হত্যার সঙ্গে জড়িত রুমা আক্তার নামের এক নারীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতেই রাজধানীর কাফরুল থানার শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে রুমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার তাতরাকান্দার নজর আলীর মেয়ে। পুলিশের হাতে ধরা পরার পরে তার মুখে সব সময় মিষ্টি হাসি ছিলো চেহারায় কোন ভয়ের ছাপ ছিলো না। হাটা চলায় ছিলো স্মার্ট। প্রায় সময় ছিলো পেন্টের পকেটে হাত।

পরে রুমার দেয়া তথ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতিসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার জানান, অবৈধ শারিরিক সর্ম্পকে জের ধরে জসিমউদ্দিনকে হত্যার পরে টুকরো টুকরো করে পলিথিনে ভরে রূপগঞ্জের পূর্বাচলে ফেলে দেয়া হয়। লাশ উদ্ধারের পরেই সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইল লোকেশন ট্রাক করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত রুমাকে সনাক্ত করা হয়।

পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার আরো জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে। পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করে ঘটনার বর্র্ণনা দিয়েছে রুমা।

জসিম উদ্দিন মাসুম ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকার চাঁদ ডাইং এর মালিক। তিনি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাস করতেন।

গত ১০ নভেম্বর তিনি বসুন্ধরা এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। পরে ১২ নভেম্বর গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন নিহত ব্যবসায়ীর পুত্র ওবায়দুল ইসলাম শিবু।

প্রসঙ্গত বুধবার বিকালে রূপগঞ্জের পূর্বাচল লেকের পাড় থেকে তিনটি কালো পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় সাতটুকরো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *