নারায়ণগঞ্জরাজনীতি

মিথ্যা অপবাদ দিয়ে রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে রিয়াদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নিউজ টি শেয়ার করে অন্যকে দেখার সুযোগ করে দিন।

মো. সেলিম মুন্সি : ফতুল্লা থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মো. চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রনোদিত মিথ্যা অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে মানববন্ধনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর রুনি মিলনায়তনে রবিবার ২৭ এপ্রিল সকালে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
এতে রিয়াদ চৌধুরীসহ ফতুল্লা থানা বিএনপি ও অংগ সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে রিয়াদ তার লিখিত বক্তব্যে বলেন আমি ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ির সন্তান। ফতুল্লায় মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বহু সরকারী ও বেসরকারী সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের ভূমির দাতা আমার পূর্ব পুরুষগণ। আমার বাবা ছিলেন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও মা ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা। আমি ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা একজন বিএনপির নিবেদিত কর্মী। গত ২৬/০৪/২০২৫ ইং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রইসউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন। মানবন্ধনে আমাকে উদ্দেশ্য গ্রনোদিতভাবে ভূমিদস্যু, দখলবাজ, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। যাহার নির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রমানাদি উল্লেখ নেই। মানববন্ধনে ফতুল্লা হোসেন ট্রেক্সটাইল নামে একটি প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেই ঘটনাটি ২০২৪ সালের ১১ ই সেপ্টেম্বর ফতুল্লা ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি এবং এলাকাবাসীর উদ্যোগে ফতুল্লা রেললাইন বটতলা এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, ও মাদকবিরোধী একটি শান্তি মিছিল আয়োজন করে। বিএনপি ও এলাকাবাসীর সমন্বয়ে আয়োজিত সেই শান্তিমিছিলে ফতুল্লার চিহ্নিত আওয়ামী পরিবার ও গড ফাদার শামীম ওসমানের অন্যতম সহযোগী যুবলীগ ক্যাডার আক্তার, সুমনের সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা ও গুলি বর্ষণ করেন। ফতুল্লা থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রবিন, যুবদল নেতা মিঠু, রাহাত চৌধুররী সহ ১৫/২০ জন সাধারণ জনগণ গুরুতর আহত হন। এই ঘটনায় হোসেন টেক্সটাইল নামক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আমি সেই ঘটনার সাথে কোনো ভাবেই জড়িত না। থাকলে সেই মামলায় অবশ্যই আমাকেও আসামী করা হতো। ১১ই সেপ্টেম্বর হামলার ঘটনার পর থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসী আক্তার, সুমনদের সন্ত্রাসী বাহিনী স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শণ করে এবং ক্ষতি করার চেষ্টা করে।

তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ৭ই ফেব্রুয়ারী ভোর ০৫.০০ টার দিকে ফতুল্লার রেললাইন এলাকায় থানা স্বেচ্ছা সেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন হোসেনকে আক্তার, সুমনের সন্ত্রাসীরা বাড়ি থেকে ডেকে এনে গুলি করে হত্যা করে। সেই হত্যা মামলার আওয়ামী সন্ত্রাসী ও হোসেন টেক্সটাইলের দখলদার আক্তার ও সুমনসহ এগারজনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। পুলিশ সেই যামলার ভিত্তিতে আক্তার, সুমনের বাড়ীর কেয়ারটেকার সহ ৭/৮ জনকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতরা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী প্রদান করেন। সেই হত্যা মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য অজ্ঞাত ব্যক্তিদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে উদ্ভট, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

রিয়াদ চৌধুরী আরো বলেন, সন্ত্রাসী আক্তার, সুমন ও তাহাদের পরিবার বিগতদিনে ৮/১০টি হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত। এরমধ্যে বীরমুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন মেম্বার, ডাইং ব্যবসায়ী সোলেমান এবং নজরুল হত্যাকান্ড অন্যতম। এছাড়া যিনি মানববন্ধন করেছেন তিনি ফতুল্লার কেউ না এবং মানববন্ধনে মুষ্টিমেয় লোকের সকলেই বহিরাগত এবং তারা কেউ ফতুল্লার ব্যবসায়ী বা বাসিন্দা নয়। মানববন্ধনকারীরা সঠিকভাবে আমার নামটিও জানেন না। যাহার কারণে সঠিকভাবে আমার নামটিও উচ্চারণ করতে পারেননি। মূলত আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যই এক পক্ষ ভাড়াটে লোকজন দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে একটি মানববন্ধন করে।

সাংবাদিক বন্ধুগণ, বর্তমানে দেশে কোন দলীয় সরকার নেই। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগে কোন সত্যতা থাকলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অবশ্যই আমার বিরুদ্ধে কোন না কোন লিখিত অভিযোগ জমা থাকতো এবং আমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে বিগত দিনে এই ধরণের কোন অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নেই। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের কিঞ্চিত সত্যতা থাকলে যৌথবাহিনী কিংবা গোয়েন্দা সংস্থা অবশ্যই অবগত থাকতেন এবং আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেন। দেশব্যাপী আওয়ামী দোষরদের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপির সর্বোচ্চ নিতি নির্ধারণী মহল থেকে শুরু করে তৃণমূল নেত্রীবৃন্দ পর্যন্ত উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করা হচ্ছে। তদ্রুপ ফতুল্লাতেও আওয়ামী দোষরদের একটি পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে আমিসহ আমার দলীয় নেত্রীবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। আমরা এই ধরনের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে আমরা দলীয়ভাবে আলোচনা সাপেক্ষে এই ধরণের কু-চক্রী মহলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

কেন আপনার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন হয়তো আমার রাজনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাওয়ার ধারাবাহিকতা আওয়ামী দোষর বা আমার দলের কারো পছন্দ নয় তাই।
আওয়ামী লীগ আমলে গডফাদার শামীম ওসমানের দোষর শাহ্ নিজাম ও মীর সোহেল আলী আপনার ব্যবসায়ীক পার্টনার ছিল এধরণের প্রশ্নে রিয়াদ বলেন তাদের সাথে আমার কোনো ব্যবসা তখনো ছিলো না এখনো নেই। তাদের সাথে আমার কোনো ব্যবসায়িক সম্প্রিক্ততা নেই। আমি কোনো জুট কিংবা গার্মেন্টস ব্যবসা করি না। আমি গাড়ি আমদানির ব্যবসা করি। দলের কেহ করলে এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রবিন, যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল খালেক টিপু, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকী, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল আরমান, শ্রমিক দলের আহ্বায়ক শাহ্ আলম পাটোয়ারী, তাতী দেলের সাভাপতি ইউনুস মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক ঈমনসহ বিএনপির থানা ও জেলা পর্যায়ে অনেক নেতৃবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *