ফতুল্লা ডিআইটি মাঠে বিএনপির জনসভায় সর্বস্তরের মানুষের অংশ গ্রহণ।

মো. সেলিম মুন্সি : বিউগলের সুর, বাদ্যযন্ত্র আর ভেঁপু বাঁশির কান ফাটানো শব্দ, আনন্দ-উচ্ছাস, নানা ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন আর স্লোগানে স্লোগানে মূখরিত ছিলো জনসমাবেশ। বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নেতা-কর্মী সমর্থকদের ব্যাপক অংশ গ্রহনে পরিপূর্ণ ছিলো ফতুল্লা ডিআইটি মাঠ।
অংশগ্রহণকারী আর আয়োজকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা সফলতায় রূপনেয় এই জনসভা। সমাবেশে আসা অনেকের মতে কৃতিত্বটা রিয়াদ মো. চৌধুরীর নেতৃত্বে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের।আর এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রবিন, যুবদলের ফতুল্লা থানা আহ্বায়ক আব্দুল খালেক টিপু, ফতুল্লা থানা বিএনপি’র ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকী, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক জুয়েল আরমান ও ফতুল্লা থানা বিএনপি সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলিম আহমেদসহ আরো অনেকের।
কারণ ফতুল্লা ঐতিহাসিক ডিআইটি মাঠের উপচে পড়া জনস্রোত ছিলো স্মরণ করার মতো। প্রচন্ড রোদ আর তাপ দাহকে উপেক্ষা করে ফতুল্লা থানা বিএনপি ও অংগ সংগঠনের আয়োজনে বিএনপির শনিবার ১২ই এপ্রিলের জনসমাবেশ পরিনত হয়ে ছিলো জনসমুদ্রে।

অপর দিকে জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও বর্তমান কমিটির সদস্য গিয়াসউদ্দিন আহমেদ ডাকা সমাবেশ ছিলো অনেকটা এলোমেলো এবং ফতুল্লার সমাবেশের তুলনায় ম্লান, জনবিমুখ। তার এই পাল্টা সমাবেশ এবং বিগত সময়ে রাজনৈতিক বেফাঁস বক্তব্য, দল এবং দলের কিছু নেতাদের নিয়ে জনসম্মুখে সমালোচনা, জেলা ও থানা পর্যায়ের কিছু নেতার সাথে সরাসরি বিরোধের কারনে তিনি এই এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারে পিছিয়ে পরেছেন। অনেক রাজনৈতিক বিজ্ঞগণ মনে করেন আজ জাকির খানঁ এর মুক্তি গিয়াস উদ্দিনকে আরো চেলেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে।
সেই সাথে একসময় বিএনপির জনপ্রিয় আশাবাদী নেতা শাহ্ আলম ও তার অনুসারিদের ঘরের ভিতরে থেকে রাজনীতি মানুষকে কিছুটা আশাহত করেছে। শাহ্ আলম রাজনীতিতে আসছে আসবে এই অপেক্ষায় তার অনুসারি অনেক নেতা-কর্মীরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে বুড়িয়ে গেছেন। অনেকে রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। অল্প কয়েকজন টিকে থাকলেও তারা খুব কষ্টে আছেন। তাদের অপেক্ষার পালা যেন শেষ হচ্ছে না। নেতা আসবে কবে আসবে নাকি আসবে না? তারা বুঝতে পারছে না।
শনিবার ১২ই এপ্রিল ঐতিহাসিক ফতুল্লা ডিআইটি মাঠে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের দাবী ও রাস্ট্র সংস্কারের লক্ষে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, মাশুকুল ইসলাম রাজিব, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএ মান্নান, জেলা বিএনপির অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল কবির মামুনসহ আরো অনেকে।
ফতুল্লা থানা বিএনপি সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মো. চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপি ও অংগ সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিয়ন, ওয়ার্ড সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বহু নেতাকর্মী। সেইসাথে সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, পেশাজীবি নেতৃবৃন্দসহ এলাকার মুরুব্বি, বহু নারী পুরুষের অংশ গ্রহণে মুখরিত ছিলো এই জনসমাবেশ ।