নারায়ণগঞ্জ

ফতুল্লায় পিলকুনীতে পুলিশের ফ্ল্যাটে চুরি

নিউজ টি শেয়ার করে অন্যকে দেখার সুযোগ করে দিন।

মোস্তাক আহমেদ : নাড়ীর টানে বাড়ি যাওয়ায় খোয়া গেল ফ্ল্যাটে থাকা ৪ ভরি স্বর্ণালংকার।গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জুন)পিলকুনী পূর্ব পাড়া জামাইর দোকান সংলগ্ন বেলাল হোসেনের ৪তলা বাড়ির ২য় তলার দু’টি ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে ৪ ভরি স্বর্ণালংকারসহ ল্যাপটপ,শাড়ি ও কিছু নগদ টাকা নিয়ে যায়।বিল্ডিংয়ের ২য় তলার এক ফ্ল্যাটে থাকেন পুলিশের এসআই সুমন আরেক ফ্ল্যাটে থাকেন সানাউল হক।তারা উভয় পরিবার ঈদ উদযাপন করতে গ্রামের বাড়িতে যান।বাড়িওয়ালা বেলাল হোসেন (৪২) থাকেন ৩য় তলায়।আজ ভোরে বাড়িওয়ালা ঘুম থেকে ওঠে নীচে নামার সময় দেখতে পান সুমন সাহেবের রুমের দরজা খোলা।ওনি ভেবেছেন সুমন সাহেব হয়তো গ্রামের বাড়ি থেকে চলে এসেছেন। নীচে নেমে দেখতে পান তার মূল ফটকের তালা খোলা।তখন তার সন্দেহ হয় এবং উনি তৎক্ষনাৎ সুমন সাহেবকে ফোন দিয়ে জানতে পারেন তিনি আসেননি।সুমন সাহেবের অনুমতি পেয়ে বাড়িওয়ালা রুমে ঢুকে সবকিছু এলোমেলো দেখতে পায়।সুমন সাহেব জানায় তার রুমে স্বর্ণালংকার বাদে সবকিছুই ছিলো। ওনি আসলে বলতে পারবেন কী কী খোয়া গেছে।বাড়িওয়ালা আগ্রহ নিয়ে সানাউল হকের ফ্ল্যাটে নজর দিলে তার দরজা লাগানো কিন্তু তালা নেই। খবর দিলে সানাউলের স্ত্রী ইলমি আক্তার ছুটে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন।সে জানায় আমার স্বামী গ্রামের বাড়িতে গেছেন। আমি যাইনি।পাশে বাবার বাড়ি থাকাতে কেবল গতরাতেই আমি বাবার বাড়িতে রাত্রিযাপন করি।তিনি জানান তার ৪ ভরি স্বর্ণালংকার,দামী শাড়ী, ল্যাপটপ ও কিছু টাকা নিয়ে গেছে।এলাকাবাসী জানান,গত দুই বছর আগেও এই বিল্ডিংয়ের ২য় তলার ভাড়াটিয়া সোহেল ঈদের ছুটিতে গ্রামে গেলে বাথরুমের গ্রিল কেটে রুমে ঢুকে অনেক কিছু নিয়ে যায়।তার পাশের বিল্ডিংয়েও ইতিপূর্বে পরপর দুইবার এমন চুরির ঘটনা ঘটেছে।ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া সানাউল হক আজ ফতুল্লা মডেল থানায় ঘটনার বর্ণনা দিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু হানিফকে এই ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।বেলা ১ টা পর্যন্ত ফতুল্লা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেননি।এলাকায় এমন চুরির ঘটনা নতুন কিছু নয়।এরা খুবই চতুর এবং চৌকস।তা না হলে এমন জনবহুল একটি আবাসিক এলাকায় কলাপসিবল গেট কৌশলে খুলে দোতালায় গিয়ে চুরি করা খুবই দুঃসাহসিক একটু কাজ।পাশেই মার্কেট।কয়েকটি স্থানে সিসি ক্যামেরা থাকলেও নেই কোন নাইট গার্ড।তবে এই এলাকাটি বেশ কয়েক বছর যাবৎ মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। কয়েকটি কিশোর গ্যাং গ্রুপ খুবই সক্রিয়।পূর্বপাড়া জামাইর দোকান থেকে পেয়ারাবাগান পর্যন্ত রাস্তাটি সন্ধার পর ভয়ংকর রূপ ধারণ করে।এই গ্রুপগুলো আবার নিয়ন্ত্রণ করে কথিত বড় ভাইয়েরা।ছোট ভাইদের কিছু বললে তারা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির মতোই দ্রুত চলে আসে।যার ফলে ভয়ে এলাকাবাসী মুখ খুলতে সাহস পায়না।এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে এলাকাবাসী প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *