নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিজয়ী শামীম ওসমান ব্যতিত বাকি ৭ জনই জামানত হারান
মো. সেলিম মুন্সি : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোয়ন প্রাপ্ত একেএম শামীম ওসমানসহ মোট ৮ জন প্রার্থী গত ৭ই জানুয়ারি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে শামীম ওসমান ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৮২৭ ভোট পেয়ে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হন। বাকী ৭ জন প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন।
নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচিত আসনে বৈধ পদত্ব ভোটের মোট সারে ১২ শতাংশ ভোটের কম যদি কোন প্রার্থী ভোট পান তাহলে তিনি জামানত হারাবেন। বিষয়টি নির্বাচনের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী অনেক অসম্মানের এবং নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী প্রার্থীর যোগ্যতার মাপ কাঠি হিসেবে ধরে নেয়া হয়।
এই নির্বাচনে অনেক আলোচিত হেভিওয়েট প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে ৩৪জন অংশগ্রহনকারী প্রার্থীর মধ্যে ২৭জনই জামানত হারিয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব বিএনপির বহিস্কৃত নেতা তৈমুর আলম খন্দকার জামানত হারিয়েছেন। ভোটে প্রদত্ব ফলাফলের ভিত্তিতে তিনি ৩য় হন। তার প্রাপ্ত ভোট ৩ হাজার ১৯০ ভোট।
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে শামীম ওসমানসহ অংশগ্রহণ করেছেন ৮জন তার মধ্যে ৭ জনই সচনিয় ভাবে পরাজিত হয়ে জামানত হারিয়েছেন। এরা হলেন- গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টিও মো. মুরাদ হোসেন জামাল, তিনি পান ৭ হাজার ২৬৯ ভোট। সোনালী আঁশ প্রতীকে তৃণমুল বিএনপির মো. আলী হোসেন ভোট পান ১৯৮৭। চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. হাবিবুর রহমান ১ হাজার ৯৫৫ ভোট পান। একতারা প্রতীকে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বি.এস.পি) মো. সেলিম আহমেদ ১ হাজার ৪১৮ ভোট পান। মশাল প্রতীকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদের মো. ছৈয়দ হোসেন ১ হাজার ২৩ ভোট পান। আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. শহীদ উন নবী পান ৭২৭ ভোট ও ডাব প্রতীকে বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্টির মো. গোলাম মোর্শেদ রনি ৫৫১ ভোট পান।