ফতুল্লায় মসজিদে উন্নয়ন কাজে আওয়ামী সন্ত্রাসী জাকির বাহিনীর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগ

বাংলাদেশীয়া সংবাদ : আওয়ামী সন্ত্রাসী জাকির ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইউসুফ নামের এক ব্যক্তি। তিনি ফতুল্লা রেল স্টেশন এলাকার শাহ আলমের ছেলে।
রবিবার (৯ মার্চ) রাতে জাকিরকে প্রধান করে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫ জনকে আসামী করে অভিযোগটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী ইউসুফ।
অভিযোগে উল্লেখ করা আসামীরা হলেন-দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার শামসুদ্দিনের ছেলে জাকির হোসেন(৩৬), আমজাদ হোসেন টোকনের ছেলে রোমান(৩০), নাসির সেট এর ছেলে শান্ত(৩০), মৃত জানে আলমের ছেলে হৃদয়(২৫) এবং পিতা অজ্ঞাত রফিক(৩৫)। এছাড়া অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জন।
বাদীর দায়েরকৃত অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, উল্লেখিত আসামীরা সকলে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের অনুসারী এবং ওই সরকারের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের ছত্র ছায়ায় থেকে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী, মাদক ব্যবসা ও জমি দখলসহ নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ করাই ছিল তাদের নিত্য দিনের কাজ। বিগত ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকারের পতন হলে কিছুদিন নিরব থাকার পর পুনরায় তারা জাকিরের নেতৃত্বে এলাকায় প্রায় সব ধরনের অপকর্ম শুরু করে। এলাকার মুরব্বীরা তাদের অপকর্ম থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করলে অপমান অপদস্ত করতো এবং প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিত। সর্বশেষ গত ৮ মার্চ দুপুর আড়াইটার দিকে সন্ত্রাসী জাকির ও তার বাহিনী বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফতুল্লা রেল স্টেশন প্লাটফর্ম জামে মসজিদের উন্নয়ন কাজ চলাকালে আসে এবং চাঁদা দাবি করে। দাবীকৃত টাকা না দিলে উন্নয়ন কাজ করতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দেয়। এ সময় বাদী ইউসুফসহ উপস্থিত অন্যান্য মুসল্লীরা বাঁধা দিলে জাকির ও তার বাহিনীর সদস্যরা বাদী উপর অতর্কিত হামলা করে মারধর শুরু করে। এতে ভয় পেয়ে যান অন্যান্য মুসল্লীরা, আর সে কারনে আত্মরক্ষার জন্য মুসল্লীরা সেখান থেকে সরে পরেন।
বাদী তার লিখিত অভিযোগে আরো বলেন, সন্ত্রাসী জাকির বাহিনীর কাছে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি আছে। এসব অস্ত্র দিয়ে তাকেসহ এলাকার মুসল্লীদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। যেকারণে অভিযোগে উল্লেখিত আসামীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।