খালেদা জিয়ার রাজসিক প্রত্যাবর্তন

মো. সেলিম মুন্সি : সকল জল্পনা কল্পনাকে পিছনে ফেলে এ যেন এক রাজসিক প্রত্যাবর্তন। দুই পুত্রবধূকে সংগে নিয়ে ফিরে আসলেন বিএনপির চেয়ারম্যান আপোষহীন নেতৃ বেগম খালেদা জিয়া।
চোখে মুখে ছিলো মার্জিত আর ব্যাক্তিত্বের প্রতিছবি। মনে হচ্ছে তার অবয়ব বলছে অন্যায়ের সাথে আপোষ না করলে এভাবে ফিরে আসা যায়, এ ভাবে ফিরে আসতে হয়।

দীর্ঘদিন বন্দী থাকার পর গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার হাসিনার পতন ঘটলে মুক্তিপান খালেদা জিয়া। একে একে সবকটি মামলা থেকে খালাস পান তিনি। পথ খুলে যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার। অবশেষে গত ৮ই জানুয়ারি তিনি লন্ডনের উদ্দেশ্য রওনা হন। চার মাস পর চিকিৎসা শেষে ৬ই মে মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে কাতারের আমিরের দেয়া একটি বিশেষ বিমানে দেশে পৌঁছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
ইমিগ্রেশন শেষ করে বিমানবন্দর থেকে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বের হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা পতাকা নেড়ে দলীয় প্রধানকে শুভেচ্ছা জানান। জনসমাগমের উপচেপড়া ভিড়ের কারণে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর এগিয়ে চলে ধীর গতিতে। দুপুর ১টা ২৫মিনিটে গাড়িবহর পৌঁছে যায় ফিরোজা’য়।
এদিকে প্রায় চার মাস পর প্রিয় নেত্রীকে অনেকটা সুস্থ অবস্থায় কাছে পেয়ে আনন্দের শেষ নেই বিএনপির নেতাকর্মীদের। লাখ লাখ নেতাকর্মী নেমে আসেন রাস্তায়। বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসা পর্যন্ত ঢল নামে মানুষের। ফলে বিমানবন্দর থেকে বাসায় ফিরতে তাঁর দুই ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছিলেন। সেটিতেই তিনি লন্ডনে যান। কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেই আবার লন্ডন থেকে দেশে ফিরলেন তিনি।